পাকিস্তান আমল

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী | - | NCTB BOOK
1.2k
1.2k

১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গ ভারতবর্ষ বিভক্তির একটি অংশ হিসেবে ধর্মের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত বঙ্গ প্রদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিভক্ত হয়। প্রধানত হিন্দু অধ্যুষিত "পশ্চিম বঙ্গ" ভারত এবং মুসলিম অধ্যুষিত "পূর্ব বঙ্গ” পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়। ৩ জুন পরিকল্পনা বা মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা অনুসারে ১৯৪৭ সালের ১৪ এবং ১৫ অগাস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান এবং ভারতকে ডোমিনিয়ন রাষ্ট্র করা হয় এবং নতুন ভাবে বিভক্ত বাংলা প্রদেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান যা পাকিস্তানের প্রদেশ ছিল, তা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

common.content_added_and_updated_by

দেশ বিভাগ

513
513
  • ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানকে স্বাধীনতা প্রদান করা হয়।
  • ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠিত হয়।
  • ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফ সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করেন।
  • ভারত-পাকিস্তান সীমান্তরেখার নাম 'র‍্যাডক্লিফ লাইন' তার নামানুসারে করা হয়।
common.content_added_by

পাকিস্তান

600
600
  • মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন- বিখ্যাত কবি আল্লামা ইকবাল ।
  • ১৯৩৩ সালে পাকিস্তান শব্দটি ব্যবহার করেন- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরী রহমত আলী।
  • স্বাধীন সার্বভৌম পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ খ্রিঃ ।
  • পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয় ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ সালে [ডোমিনিয়ন হতে মুক্ত]
  • সাংবিধানিকভাবে পূর্ব বাংলার নাম পূর্ব পাকিস্তান করা হয় কবে- ২৩ মার্চ ১৯৫৬ সালে ।
  • পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট- ইস্কান্দার আলী মির্জা।
  • পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন- লিয়াকত আলী খান।
  • ইস্কান্দার আলী মির্জা পাকিস্তানে প্রথম সামরিক শাসন জারি হয় ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে ।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
তাজউদ্দিন আহমেদ
হাবিলদার মুজিবুর রহমান
ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক
সার্জেন্ট জহুরুল হক
কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন

পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল

1.1k
1.1k

পাকিস্তান গভর্নর জেনারেল

নাম

সময়কাল

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ

১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত।

স্যার খাজা নাজিমউদ্দীন

১৯৪৮- ১৯৫১ সাল পর্যন্ত।

মালিক গোলাম মুহাম্মদ

১৯৫১- ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত।

ইস্কান্দার আলী মির্জা

১৯৫৫-১৯৫৬ সাল পর্যন্ত

পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগঃ ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল এ্যাসেম্বলিতে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মুজিবুর রহমান(বর্তমান নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ)

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

জওহরলাল নেহেরু
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
মহাত্মা গান্ধী।
সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল
মোহাম্মদ আলী বগড়া
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
লিয়াকত আলী খান
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ

665
665

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ

তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত করাচির ওয়াজির ম্যানশনে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে এই স্থান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের অংশ। শৈশবে তার নাম ছিল মুহাম্মদ আলি জিন্নাহভাই। তার বাবার নাম জিন্নাহভাই পুনজা ও মায়ের নাম মিঠাবাই। তার বাবা ছিলেন একজন গুজরাটি ব্যবসায়ী।

১৯০৪ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেসের বিশতম বার্ষিক অধিবেশনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে জিন্নাহর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।১৯১৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন। পাকিস্তানে তাকে কায়েদে আজম (মহান নেতা) ও বাবায়ে কওম (জাতির পিতা) হিসেবে সম্মান করা হয়।

  1. জন্ম---২৫ ডিসেম্বর ১৮৭৬,(করাচি, ব্রিটিশ ভারত)
  2. মৃত্যু---১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ -বয়স ৭১ (করাচি, পাকিস্তান)
  3. সমাধিস্থল--মাজারে কায়েদ
  4. রাজনৈতিক দল--ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৯০৬–২০)
  • ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৯০৬–২০)-কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহে অংশ নিলে ১৯২০ সালে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন।
  • নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (১৯১৩–৪৭)  [নিখিল ভারত মুসলিম লীগ  ১৯০৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক দল যা  ব্রিটিশ ভারত এবং ভারত উপমহাদেশে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান তৈরির পেছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।]
  • মুসলিম লীগ (১৯৪৭–৪৮)  [মুসলিম লীগ হচ্ছে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের মূল উত্তরসূরি যা পাকিস্তান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে ভারতের মুসলিমদের একাংশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিল।পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ নতুন দেশের গভর্নর-জেনারেল এবং মুসলিম লীগের সেক্রেটারি জেনারেল লিয়াকত আলী খান প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ভেঙে দেওয়া হয়। এর ফলে মুসলিম লীগ (পাকিস্তান) এবং ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের উত্তরসূরি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

 

            

 

common.content_added_by

মালিক গোলাম মুহাম্মদ

461
461

মালিক গোলাম মুহাম্মদ

  • জন্ম-২০ এপ্রিল ১৮৯৫
    লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
  • মৃত্যু-১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ (বয়স ৬১)
    লাহোর, পাকিস্তান
  • পাকিস্তানের তৃতীয় গভর্ণর জেনারেল। তিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।
common.content_added_by

ইস্কান্দার আলী মির্জা

526
526

ইস্কান্দার আলী মির্জা নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।

common.content_added_by

আওয়ামী মুসলিম লীগ

873
873

আওয়ামী মুসলিম লীগ

  • পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়- ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ।
  • আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে কর্মী সম্মেলনে।
  • মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়- ১৯৫৫ সালে দলের তৃতীয় কাউন্সিলে ।
  • বঙ্গবন্ধু আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হন ১৯৫৩ সালে ।
  • বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি হন- ১লা মার্চ, ১৯৬৬ সালে।

আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের কমিটি

সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা

মাওলানা আবদুল হামিদ খান (ভাসানী)

সহ-সভাপতি

আতাউর রহমান খান

সাধারণ সম্পাদক

শামসুল হক

যুগ্ম-সম্পাদক

শেখ মুজিবুর রহমান

এবং

খন্দকার মোস্তাক আহমদ

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শামসুল হক
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
শেখ মুজিবুর রহমান
লিয়াকত আলী খান
মাওলানা আকরাম খাঁ
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
এইচ এস সোহরাওয়ারদী
শেখ মুজিবুর রহমান
আতাউর রহমান খান
হোসের শহীদ সোহরাওয়ার্দী
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
শেরে বাংলা এ কে ফজুলুল হক

ভাষা আন্দোলন

1.5k
1.5k

ভাষা আন্দোলন

বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও, বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে। অন্যদিকে, এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।

প্রেক্ষাপট
১৯৪৭ সালে চৌধুরী খালিকুজ্জামান এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে রাষ্ট্রভা করার পক্ষে প্রস্তাব করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ বেশ কিছু বাঙালি লেখক বুদ্ধিজীবী এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। ১৯৪৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ দৈনিক আজাদ' পত্রিকায় 'পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রক করেন। এখানে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এক ভাষণে বলেছিলেন, 'আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি'।

গণপরিষদে বাংলার দাবি

১৯৪৮ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদে বক্তৃতা প্রদানের এবং রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানান কুমিল্লার সাংসদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। সেই দিন অধিবেশনে বাংলার পক্ষে ভোট পড়ে ১৫টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি।

দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও ভাষা দিবস

  • রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ দ্বিতীয়বারের মতো গঠিত হয়- ২ মার্চ, ১৯৪৮ সালে।
  • আহ্বায়ক- শামসুল আলম।
  • কর্মসূচিঃ ১১ মার্চ- বিক্ষোভ কর্মসূচি, ধর্মঘট, স্মারক লিপি পেশ। বিক্ষোভে বঙ্গবন্ধুসহ বহু ছাত্র হতাহত ও গ্রেপ্তার হয়।
  • এই প্রেক্ষিতে ১১ ই মার্চ 'বাংলা ভাষা দাবি দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।
  • ১৯৪৮-৫২ সাল পর্যন্ত ১১ই মার্চকে ভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হত।

জিন্নাহ'র ঘোষণা ও ছাত্রদের প্রতিবাদ

১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন "Urdu and only Urdu shall be the state language of Pakistan" এছাড়াও ২৪ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কার্জন হলে পুনরাবৃত্তি করলে ছাত্ররা না না বলে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায়। ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন খাজা নাজিমুদ্দীন।

ভাষা আন্দোলনের ৩টি সংগ্রাম পরিষদ

নামগঠনের সময়কালআহ্বায়ক
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ১ অক্টোবর, ১৯৪৭নূরুল হক ভূঁইয়া
২য় বার রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ (সংস্কার)২ মার্চ, ১৯৪৮আহ্বায়ক শামসুল আলম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ১১ মার্চ, ১৯৫০আব্দুল মতিন
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ কাজী গোলাম মাহবুব

আন্দোলন সংগ্রামে অন্যান্য সংগঠন

  • তমদ্দুন মজলিস- ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭
  • পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি- ৯ মার্চ, ১৯৪৯
  • সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ- ৫ জানুয়ারি, ১৯৬৯
  • গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ ৮ জুন, ১৯৬৯

ভাষা আন্দোলনকালীন পাক-নেতৃত্ব

পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী

নুরুল আমিন

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

খাজা নাজিমুদ্দিন

পাকিস্তানের গভর্নর

মালিক গোলাম মোহাম্মদ

পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি

১৯৪৯ সালের ৯ই মার্চ পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষা সংস্কারের নামে মাওলানা আকরাম খাঁ সভাপতি করে ১৬ সদস্যের একটি 'পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি' গঠন করে দেয়। ১৯৫১ সালে লিয়াকত আলী খান মৃত্যুবরণ করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খাজা নাজিমুদ্দীন।

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

খাজা নাজিম উদ্দিন
এ কে ফজলুল হক
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
নূরুল আমিন
খাজা নাজিম উদ্দিন
মো: নূরুল আমীন
ফিরোজ খান নুন
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ

তমুদ্দুন মজলিস

550
550

তমুদ্দুন মজলিস

  • তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
  • এটি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
  • প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাশেম।
  • এই সংগঠনটি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা দাবী করে।
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা " প্রকাশ করে।

" পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু” পুস্তিকার লেখক ৩ জন

  • আবুল কাশেম (প্রতিষ্ঠাতা)
  • আবুল মনসুর আহমদ (শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক লেখক)
  • ড. কাজী মোতাহার হোসেন (সাহিত্যিক)

common.content_added_by

আবুল কাশেম

520
520

পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির মাত্র ১৮ দিনের মাথায় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সূচনাকারী। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা: বাংলা না উর্দু' শিরোনামের ঘোষনাপত্রে সর্বপ্রথম বাংলাকে রাষ্টভাষা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

অধ্যাপক আবুল কাশেম বুঝতে পেরেছিলেন রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলার মানুষের সংগ্রাম অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আন্দোলনের শুরুতে অধ্যাপক আবুল কাশেমের ১৯ নম্বর আজিমপুরের বাসভবনই ছিল তমদ্দুন মজলিসের অফিস।

এ প্রসঙ্গে অলি আহাদ তাঁর 'জাতীয় রাজনীতি: ১৯৪৫-৭৫ বইয়ে লিখেছেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন বিজ্ঞানের অধ্যাপকদ্বয় আবুল কাশেম ও নুরুল হক ভূঁইয়া ধূমায়িত অসন্তোষকে সাংগঠনিক রুপদানের প্রচেষ্টায় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিস গঠন করেন। নবগঠিত তমদ্দুন মজলিসই ভাষা-আন্দোলনের গোড়াপত্তন করে।"

common.content_added_by

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ

577
577

১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় এক জনসভায় ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে গঠিত হয় "সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” (All Parties State Language Movement Committee) ৩১ শে জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে। কমিটিতে সদস্য ছিল ২২ জন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক, আব্দুল মতিন এবং আহ্বায়ক কাজী গোলাম মাহবুব।

জেনে নিই

  • ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ পতাকা দিবস পালিত হয়।
  • ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র সাপ্তাহিক সৈনিক। [সম্পাদক শাহেদ আলী]
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও মুক্তির দাবিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমেদ ফরিদপুর জেলে আমরণ অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ আন্দোলনের তীব্রতায় ভয় পেয়ে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন ঢাকা শহরে সবধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। [তথ্যসূত্র: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ (পৃষ্ঠা: ৯৪)]
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২

593
593
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ ছিল ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার।
  • সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
  • আব্দুস সামাদের মধ্যস্থতায় ১০ জনের একটি করে দল বেরিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
  • পুলিশের সাথে ছাত্র-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই শহীদ হয়- রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম সহ মোট ৮ জন।
  • ২২ ফেব্রুয়ারির প্রতিবাদ সভায় নিহত হন শফিউর রহমান, অহিউল্লাহ, রিক্সাচালক সালাম, আব্দুল আউয়াল।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আবদুল গাফফার চৌধুরী
বেগম সুফিয়া কামাল
আবু হেনা মোস্তফা কামাল
গাজী মাজহারুল আনোয়ার

রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি

603
603
বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান গণপরিষদ ১৯৫৪ সালে
উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয় জাতীয় পরিষদ১৯৫৬ সালে
বঙ্গবন্ধু সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ জারি করেন১৯৭৫ সালে
জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষা আইন পাস করা হয়।১৯৮৭ সালে
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মাতৃভাষা দিবস

616
616

১৯৯৮ সালের ১৭ই নভেম্বর ১৮৮ দেশের সমর্থনে ইউনেস্কোর ৩০তম উদ্যোক্তা সাধারণ অধিবেশনে ২১শে | ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে। জাতিসংঘ ২০০৮ সাল থেকে মাতৃভাষা দিবস পালন করা আরম্ভ করে।


উদ্যোক্তাঃ রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম (কানাডা প্রবাসী)।

সংগঠনঃ The Mother Language Lovers of World

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক স্থাপনা

538
538
common.please_contribute_to_add_content_into ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক স্থাপনা.
common.content

চেতনা ৭১

520
520

চেতনা '৭১' মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য যা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এটি বৃহত্তর সিলেটের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ মিনি অডিটোরিয়ামের পশ্চিম পাশে চেতনা৭১’ নামে একটি অস্থায়ী ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। চেতনা ‘৭১’ এর স্থপতি মোবারক হোসেন।

common.content_added_by

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট

458
458

১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশ সরকার একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝিতে ১৯,৪৯,০০,০০০ টাকার "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প" সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। শুরুতে ১২ তলা ভবনের উল্লেখ থাকলেও প্রাথমিকভাবে ৫ তলা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়; তাতে একটি মিলনায়তন, চারটি সম্মেলন কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, জাদুঘর, আর্কাইভ, ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য ১০টি শ্রেণীকক্ষসহ প্রয়োজনীয় অফিসকক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়। এরপর সরকার বদলের পরে ভবনের নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে সরকার প্রকল্প সংশোধন করে নির্মাণকাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়। সংশোধিত প্রকল্পের অধীনে ৩ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ শেষ হয় ২০১০ খ্রিস্টাব্দে। সেবছর ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটির উদ্বোধন করেন। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের ৯ বছর পর ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।

common.content_added_by

ভাষাভিত্তিক গান, নাটক, উপন্যাস, গল্প, কবিতা, চলচ্চিত্র

691
691

জেনে নিই

  • 'কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা/খোকা তুই কবে আসবি' পঙক্তির রচয়িতা- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ।
  • কোন এক মাকে- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
  • স্মৃতিস্তম্ভ— আলাউদ্দীন আল আজাদ।
  • বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা- শামসুর রাহমান ।
  • এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে- মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
  • ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত প্রবন্ধ 'বায়ান্নোর জবানবন্দি'- এম. আর. আখতার মুকুল।
  • ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক উপন্যাস: শওকত ওসমান রচিত- 'আর্তনাদ', সেলিনা হোসেন- নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি।
  • বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের বাইরে প্রথম বাংলাকে আধা-সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয় ভারতের আসাম রাজ্যে বাঙালি অধ্যুষিত ৩টি জেলাতে।
  • বাংলাদেশের বাহিরে ভাষার জন্য প্রাণ দেয় আসামের শীলচরের জনগণ- ১৯৬১ সালে ।
  • বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা করা হয়েছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নে- ২০০২ সালে।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি - কবিতা

711
711
common.please_contribute_to_add_content_into কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি - কবিতা.
common.content

আরেক ফাল্গুন-উপন্যাস

475
475
common.please_contribute_to_add_content_into আরেক ফাল্গুন-উপন্যাস.
common.content

জীবন থেকে নেওয়া- চলচিত্র

519
519
common.please_contribute_to_add_content_into জীবন থেকে নেওয়া- চলচিত্র.
common.content

আমার সোনার বাংলা - গান

479
479
common.please_contribute_to_add_content_into আমার সোনার বাংলা - গান.
common.content

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান

534
534
common.please_contribute_to_add_content_into আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

একুশের বিশেষ ব্যক্তিত্ব

483
483
common.please_contribute_to_add_content_into একুশের বিশেষ ব্যক্তিত্ব.
common.content

মাহবুবুল আলম চৌধুরী

506
506

চৌধুরী মাহবুব উল আলম (১৯২৭-২০০৭) কবি, সাংবাদিক, লেখক, ভাষা সৈনিক এবং ভাষা আন্দোলনের প্রথম কবিতার রচয়িতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২) আন্দোলনকারী ভাষা সৈনিকদের ওপর পুলিশের গুলি এবং ছাত্র নিহত হওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ স্বরূপ কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী ’একুশে’ শিরোনামে রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ’কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ যা ভাষা আন্দোলনের প্রথম কবিতা হিসেবে স্বীকৃত।

  • একুশের প্রথম কবিতা-কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।
  • লেখক-মাহবুবুল আলম চৌধুরী ।
  • চৌধুরী হারুন অর রশিদ প্রথম পাঠ করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে লাল দীঘি ময়দান, চট্টগ্রাম।
  • পাকিস্তান সরকার এ কবিতা বাজেয়াপ্ত করে।
common.content_added_by

জহির রায়হান

530
530

জহির রায়হান এর একুশের কর্ম

  • আরেক ফাল্‌গুন (১৯৬৯) ভাষা-আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত প্রথম উপন্যাস ।
  • লেখক জহির রায়হান ।
  • জীবন থেকে নেওয়া (১৯৭০) ভাষা-আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত প্রথম চলচ্চিত্র।
  • পরিচালক - জহির রায়হান
  • "আমার সোনার বাংলা" গানটি এই চলচ্চিত্রে প্রথম ব্যবহার করা হয়।
common.content_added_by

আলতাফ মাহমুদ

520
520

আলতাফ মাহমুদ এর একুশের কর্ম

  • মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল ভাষা বাঁচাবার তরে আজিকে স্মরিও তারে।
  • গীতিকার- প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ।
  • সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
  • আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটির বর্তমান সুরকারও তিনি।
common.content_added_by

গাজীউল হক

488
488

গাজীউল হক এর একুশের কর্ম

  • প্রথম গান ভুলব না ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব নাম ।
  • গীতিকার- ভাষা সৈনিক গাজীউল হক।
  • সুরকার- নিজাম উল হক।
  • ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গের মিছিলে তিনি নেতৃত্ব প্রদান করেন।
common.content_added_by

অধ্যাপক আবুল কাশেম

535
535

অধ্যাপক আবুল কাশেম এর একুশের কর্ম

  • প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন।
  • ১৯৪৭ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন তমুদ্দন মজলিস প্রতিষ্ঠা করে।
  • বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬২ সালে।
  • গ্রন্থ- আধুনিক চিন্তাধারা, বিজ্ঞান সমাজ ধর্ম ।
common.content_added_by

মুনীর চৌধুরী

460
460

মুনীর চৌধুরী এর একুশের কর্ম

  • কবর নাটক রচনা করেন জেলখানায় বসে ১৯৫৩ সালে।
  • একাধারে শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন।
  • ১৯৬৫ সালে বাংলা কী বোর্ড ‘মুনীর অপটিমা' উদ্ভাবন করেন।
common.content_added_by

যুক্তফ্রন্ট

1.3k
1.3k

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন- ১৯৫৪

যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়- ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা (নির্বাচনের ইশতিহার) ২১ দফার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। প্রথম দফা ছিল বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা। করা। ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ ই মার্চের নির্বাচন ছিল পূর্ব বাংলায় প্রথম অবাধ ও সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন। সরকারিভাবে নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় ২রা এপ্রিল। নির্বাচনে মোট আসন ছিল ৩০৯ টি (মুসলিম আসন-২৩৭টি এবং অমুসলিম আসন ৭২টি)।

জেনে নিই

  • যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়- ৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে।
  • ২১ দফা প্রকাশিত হয়- ৫ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে।
  • নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালের (৮-১২) মার্চে ।
  • যুক্তফ্রন্ট- ২২৩ টি আসনে জয় লাভ করে।
  • যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল- নৌকা।
  • পরাজিত মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল- হ্যারিকেন।
  • যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের বিজয়কে আখ্যায়িত করা হয়- ব্যালট বিপ্লব হিসাবে।
  • যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা ক্ষমতায় ছিল মাত্র- ৫৬ দিন।
  • যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা গঠন করে- ৪ এপ্রিল, ১৯৫৪ সালে ।
  • মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন- এ. কে ফজলুল হক।
  • যুক্তফ্রন্টের কৃষি, বন, সমবায় ও পল্লীমন্ত্রী ছিলেন- শেখ মুজিবুর রহমান।
  • যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়- ৩০ মে, ১৯৫৪ সালে।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

২১ দফা

639
639
common.please_contribute_to_add_content_into ২১ দফা.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা
পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ
বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ
স্বায়ত্তশাসন
রাজনীতি করার অধিকার
রাষ্ট্রভাষা বাংলা
পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য দুরীকরন

কৃষক প্রজা পার্টি

475
475

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক।

common.content_added_by

নেজামে ইসলাম

597
597

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা ছিলেন মাওলানা মোতাহার আলী ।

common.content_added_by

গণতন্ত্রী দল

530
530

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে গনতন্ত্রী দলের নেতা ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ ।

common.content_added_by

কাগমারি সম্মেলন

963
963

কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন ১৯৫৭

১৯৫৭ সালে অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলার কাগমারীর সন্তোষে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ| সম্মেলন যা পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিভক্তি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৫৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি অবধি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৮ই ফেব্রুয়ারি মওলানা আব্দুল হামিন খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি আরম্ভ হয়। উক্ত সম্মেলনে ভাসানী পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পূর্ব পাকিস্তানে শোষণ অব্যাহত থাকে তবে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে "আসসালামু আলাইকুম " জানাতে বাধ্য হবেন।

জেনে নিই

  • কাগমারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইলের সন্তোষে ১৯৫৭ সালে ।
  • সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানী।
  • প্রধান অতিথি ছিলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
  • মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাপ গঠন করেন ১৯৫৭ সালে।
  • মাওলানা ভাসানী পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম জানান যে সম্মেলনে কাগমারী সম্মেলন ।

common.content_added_by

সামরিক শাসন

596
596

সামরিক শাসন জারি (১৯৫৮)

পূর্ব বাংলার সংসদে সদস্যদের সংঘর্ষে ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী গুরুতর আহত হন। এরই অজুহাতে, ইস্কান্দার মীর্জা ১৯৫৮ সালে ৭ই অক্টোবর সামরিক আইন জারি করেন। প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মীর্জা, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন। ২৭ শে অক্টোবর, ১৯৫৮ ইস্কান্দার মীর্জাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে, আইয়ুব খান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করে নিজেই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ২৩ মার্চ ১৯৬০ সালে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন।

common.content_added_by

মৌলিক গনতন্ত্র

605
605

মৌলিক গণতন্ত্র (১৯৬০)

  • প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ জারি করেন ১৯৫৯ সালে।
  • মৌলিক গণতন্ত্রীর সংখ্যা ছিল পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার।
  • প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেন ১৯৬০ সালে।
  • মৌলিক গণতান্ত্রিক অধ্যাদেশে চার স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
common.content_added_by

শিক্ষা আন্দোলন

463
463

শিক্ষা আন্দোলন - ১৯৬২

১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল শিক্ষাকে সার্বজনীন অধিকার করা। কমিশনের প্রধান ড. এস এম শরীফের নামানুসারে এ রিপোর্টের নাম হয় শরীফ কমিশন রিপোর্টটি দাখিল করা হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার জন্য প্রথম আন্দোলন এটি।

common.content_added_by

পাক ভারত যুদ্ধ

432
432

পাক-ভারত যুদ্ধ (১৯৬৫)

৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। এ যুদ্ধের স্থায়িত্বকাল ছিল ১৭ দিন। ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনির মধ্যস্থতায় 'তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধের অবসান হয়। ভারতের পক্ষে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আতাউল গনি ওসমানীকে বীরত্বের জন্য 'পাপা টাইগার' উপাধি প্রদান করে পাক- সরকার।

common.content_added_by

১৯৬৬ সালের ৬ দফা

546
546

১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন

১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি পেশ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে লাহোরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, ছয় লক্ষ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ছয়দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে।

ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি

  • ১ম দফাঃ শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
  • ২য় দফাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
  • ৩য় দফাঃ মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা।
  • ৪র্থ দফাঃ কর বা রাজস্ব বিষয়ক ক্ষমতা।
  • ৫ম দফাঃ বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
  • ৬ষ্ঠ দফাঃ আঞ্চলিক মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের ক্ষমতা।

জেনে নিই

  • ৬ দফা উত্থাপন করা হয় মোট ৩বার। উত্থাপনকারী- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
  • প্রথমবার ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে লাহোরের বিরোধী দলীয় সম্মেলনে।
  • দ্বিতীয়বার ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে।
  • তৃতীয়বার ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করা হয় লাহোরে।
  • বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা পূর্ব পাকিস্তানের ম্যাগনাকার্টা বলা হয়- ৬ দফাকে।
  • ছয় দফা দিবস পালিত হয়ে আসছে- ৭ জুন।
  • ছয় দফার অর্থনীতি বিষয়ক দাবি- ৩টি (৩য়, ৪র্থ, ৫ম)।

 

common.content_added_by
common.content_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শেখ মুজিবুর রহমান
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
শেখ হাসিনা
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৯৭০ সালে
১৯৬৬ সালে
১৯৫৬ সালে
১৯৬৫ সালে
বিল এফ রাইটস
ম্যাগনা কার্টা
পিটিশন অফ রাইটস
মুখ্য আইন

১৯৭০ এর নির্বাচন

483
483

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন (The General Election of 1970)

প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ৬৯ গণ অভ্যুত্থানের পতনের ফলে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আগা মুহম্মদ ইয়াহিয়া খানের নিকট ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতিকে বিদায় জানান । জেনারেল ইয়াহিয়া খান দ্বিতীয় বারের মত সারা দেশে মার্শাল ল' জারি করেন ২৫ মার্চ রাতে । জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা গ্রহণের পর জনপ্রতিনিধির কাছে বৈধ প্রক্রিয়াতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন এবং আইনগত কাঠামো আদেশ (Legal Framework Order) ঘোষণা করেন ৩০ মার্চ, ১৯৭০ সালে। পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর।

১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল

আইনসভা

নির্বাচিত আসন

সংরক্ষিত আসন

মোট আসন

জাতীয় পরিষদ

৩০০

১৩

৩১৩

আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত আসন

১৬০

১৬৭

পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ

৩০০

১০

৩১০

আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত আসন

২৮৮

১০

২৮৯

জেনে নিই

  • MLA Member of Legislative Assembly
  • MNA = Member of National Assembly (জাতীয় পরিষদের সদস্য)
  • MPA = Member of Provincial Assembly (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য)
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের MNA এবং MPA দের ৬ দফার ভিত্তিতে শপথ পড়ান- ৩ জানুয়ারি, ১৯৭১ সালে রেসকোর্স ময়দানে
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয় লাভ করেন- ঢাকা-৮ নং আসন থেকে (১১১ তম আসন)।
  • ১৯৭০ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগেই শপথ নেন- তোফায়েল আহমেদ।
  • ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে MNA নির্বাচিত হন- আব্দুল হামিদ (বর্তমান রাষ্ট্রপতি)
  • আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬ দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে।
  • ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

common.content_added_and_updated_by

জাতীয় পরিষদ

535
535
common.please_contribute_to_add_content_into জাতীয় পরিষদ.
common.content

প্রাদেশিক পরিষদ

516
516
common.please_contribute_to_add_content_into প্রাদেশিক পরিষদ.
common.content

আগরতলা মামলা

976
976

আগরতলা মামলা

বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে পূরববাংলাকে বিচ্ছিন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টায় অভিযোগ বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামী করে নোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক যে মামলা দায়ের করা হয় তাই আগরতলা মামলা নামে পরিচিত ।

জেনে নিই

  • পাকিস্তান সরকার দেশদ্রোহিতার মামলা করে ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে।
  • প্রথম দফায় ২৮ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, তখনও শেখ মুজিবুর রহমান এ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না
  • পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পূর্বের ২৮ জন সহ মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে।
  • 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য' নামে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয় ১৮ ই জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে।
  • অভিযোগ পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তান হতে মুক্ত করে ভারতের সাথে সংযুক্তি যোগসাজশ।
  • মামলার তথ্য ফাঁস করেন পাকিস্তান ইন্টার ইন্টেলিজেন্সের সদস্য আমির হোসেন।
  • ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় ২১ এপ্রিল, ১৯৬৮ সালে। ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন এস. এ. রহমান।
  • ঢাকার কুর্মিটোলা সেনানিবাসে বিচারকার্য শুরু হয় ১৯ জুন, ১৯৬৮ সালে।
  • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আগরতলা ষড়যন্ত্র
রাষ্ট্র বনাম আগরতলা
রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য
সরকার বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য
১০ জানুয়ারি ১৯৬৬
৫ জানুয়ারি ১৯৬৬
২৩ মার্চ ১৯৬৬
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion